আগামী ২১ ও ২২ অক্টোবর কবিকুঞ্জ এর আয়োজনে রাজশাহী মহানগরীতে দশম জীবনানন্দ কবিতামেলা অনুষ্ঠিত হবে।এবারের মেলায় দুই বাংলার কবি-সাহিত্যিকদের মিলনমেলা ঘটবে বলে জানানো হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) কবিতামেলাকে সামনে রেখে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, এবারের মেলা আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কথাশিল্পী হাসান আজিজুল হককে উৎসর্গ করা হয়েছে।

২১ অক্টোবর সকাল ১০টায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।উদ্বোধক হিসেবে থাকবেন কবি জুলফিকার মতিন।কবিকুঞ্জ স্মারকপত্রের মোড়ক উন্মোচন করা হবে।স্মারকপত্রটি কবিকুঞ্জের অন্যতম উপদেষ্টা প্রায়ত অধ্যক্ষ নিতাই লাল বাছাড়কে উৎসর্গ করা হয়েছে।

২২ অক্টোবর (শনিবার) কবিকুঞ্জ পদক প্রদান করা হবে কবি মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্কে।এছাড়াও কবিকুঞ্জ ছোটকাগজ সম্মাননা দেওয়া হবে ‘চিহ্ন’র সম্পাদক শহিদ ইকবালকে।এতে প্রধান অতিথি থাকবেন বরেণ্য অর্থনীতিবিদ ও রবীন্দ্র গবেষক ও বঙ্গবন্ধু প্রফেসর সনৎকুমার সাহা।

অনুষ্ঠানমালার বিভিন্ন পর্বে থাকবে কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ,ছোট গল্পপাঠ, একক ও দলীয় আবৃত্তি ও আলোচনা আমন্ত্রিত বিশিষ্ট কবি, লেখক ও অতিথিবৃন্দ প্রফেসর সনৎকুমার সাহা, কবি জুলফিকার মতিন,কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, কবি আসাদ মান্নান,কবি সরোজ দেব,কথাশিল্পী মামুন হুসাইন,কথাশিল্পী জাকির তালুকদার, কবি ফারুক মাহমুদ,কবি অনীক মাহমুদসহ দেশের শতাধিক কবি ও লেখক কবিতামেলায় অংশ গ্রহণ করবেন।

এছাড়াও ভারত থেকে এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করবেন- কবি জয়ন্ত বাগচী, কবি অলোক বিশ্বাস, কবি প্রাণজি বসাক, সৈয়দ হাসমত জালাল, শম্পা দাস, কবি মোস্তাক আহমেদ, কবি গৌতম মিত্র প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন,কবিকুঞ্জের সভাপতি অধ্যাপক রুহুল আমিন প্রামাণিক, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল হক কুমার, সহ-সভাপতি বিথী মজিদার, কোষাধ্যক্ষ কবি আব্দুল মালেক প্রমুখ।

তারা বলেন,কবিকুঞ্জ আয়োজিত জীবনানন্দ কবিতামেলা শুধু দেশ-বিদেশের লেখক-কবিদের মিলন মেলা নয়; এটি ক্রমেই রাজশাহী মহানগরীর সাংস্কৃতিক উৎকর্ষতার পরিচয় জ্ঞাপক হয়ে উঠেছে।আবহমান বাংলা ও বাঙালির অসাম্প্রদায়িক শুভবাদী সাংস্কৃতিক অঙ্গিকার বহন করে চলেছে। কবিকুঞ্জের কবিতা কর্মীদের সৌভাগ্য যে,সংগঠনের জন্মবর্ষেই (২০১২) আমরা রাজশাহীতে জীবনানন্দ স্মরণোৎসবের মধ্য দিয়ে দুই বাংলার কবিদের মিলনমেলা তথা কবিতামেলা শুরু করি। সেই থেকে আমাদের পথচলা; কথা বলা।